এর জন্য একের পর এক প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে সরকার।
মেট্রোরেল তার মধ্যে অন্যতম। প্রোজেক্টের নাম-“Dhaka Mass Rapid Transit Development”
what i feel & think
দুটো প্রধান রাজনৈতিক দল।
প্রধান কর্মকাণ্ড গদি দখল আর গদিচ্যুত করা।এর মাঝে দেশ খানিকটা এগিয়েছে।তার বড়াই করেই দিন পার করা।কাজ করবার ইচ্ছা আমি কোনো দলের মাঝেই দেখি না,শুধু বাতেলা দিচ্ছে।
সরকার আর বিরোধীদল শুধু একে অপরকে দোষ দিয়ে দিন শুরু করে আর শেষ করে।কাজের নামে শুধু টাকা আত্মসাৎ করার পন্থা বের করে।
বিশিষ্টজনদের মুখে ঢাকাকে লস এঞ্জেলস আওড়াতে শোনা যায়।নির্লজ্জের মত তাদের আমলেই এমন আমূল-পরিবর্তন এসেছে বলতে শোনা যায়। আমার যেমন হাসি পায় তেমন রাগও হয়।কিন্তু কিছু করার নেই,কিছু বলার নেই তারা দখলদার বলে।
সরকার উন্নয়ন এর মধ্যে এতটাই ডুবে আছে যে,বহির্বিশ্ব যখন ঢাকাকে বসবাসের অযোগ্য বলছে তখন তার লস এঞ্জেলস এর নাম জপছে।
অবশ্য সে সব লোকের কাছে লস এঞ্জেলস মনে হতেই পারে। এর কারণ তারা যখন ঢাকার রাস্তায় বেরহয় তখন রাস্তা ফাকা করে দেয়া হয়,তাদের জন্য সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।গাড়িতে লাল বাতি লাগিয়ে দেশের লাল বাতি জ্বালাতে তারা কর্মক্ষেত্রে যায়।
অথচ শুধু মাত্র যাদের পরিশ্রমে দেশ কচ্ছপের গতিতে হলেও এগোচ্ছে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা উন্নতির জোয়ারে (জ্যাম) বসে মানসিক ভাবে কাজ করার ইচ্ছাশক্তি হারাচ্ছে।
নিজের দেশ ছেড়ে অন্যদেশে গিয়ে ঘাম ঝড়িয়ে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে দেশের জনসংখ্যার এক অংশ।অথচ তাদের নিরাপত্তার কথা শুধু বলেই যায় ক্ষমতাধারীরা,বলে যায় তাদের সুযোগ সুবিধার কথা।কাজের বেলায় তাদের টিকিটিও খুজে পাবেন না কেউ।
ঢাকায় মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ।এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে এই জনসংখ্যা হয়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৭৪ লাখে!!(কালের কন্ঠ) বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সময়সীমা দিয়েছে ২০৪১ সাল!! ডিজিটালের সব ছোয়াই তো ঢাকা কেন্দ্রিক,তাহলে আশা করা যায়, বিশ্ববাসী এই প্রথম কোনো ডিজিটাল দেশ দেখতে যাচ্ছে যার রাজধানী জড়বস্তু তে পরিনত হয়েছে।
“ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৫ হাজার আর অন্যদিকে লস এঞ্জেলসে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৯১০ জন”
জনসংখ্যার ঘনত্বের যে ব্যবধান দুই শহরের মধ্যে তারপর ও অন্য কোনো পরিসংখ্যান দেয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করি।
কিছু ❓প্রশ্ন↓
যত উন্নতির ছোয়া সব ঢাকাতেই কেন? কেন প্রতিটা বিভাগে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই? কেন সব চাকরি ও চাকরির পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ছুটতে হয়?সকল মন্ত্রণালয় ঢাকায় কেন?মানুষ কেন ঢাকা মুখী?কবে সরকার ঢাকার বাহিরেও বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে কাজ করবে?
ব্লাফারদের রাজনীতি আর কতদিন চলবে?আমার মনে হয় যত দিন এই দুই দলের শাসন চলবে_
আমার রক্তে বাংলাদেশ। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধ কে ধারণ করি, লালন করি।এর মাহাত্য আমি বুঝি। “আমি বঙ্গবন্ধু কে মেনে চলি।”
বর্তমানে এই কথাটা একরকম গালির পর্যায়ে চলে গেছে।শুনলেই নাক ছিটকানো ব্যাপার চলে আসে মানুষের মধ্যে,এটা আমাদের দেশের মানুষের জন্য কতটা লজ্জাজনক ব্যাপার তা ভাবতেও ভয় হয়।এর সত্যতা এতটা তিতা যা আমার মত মানুষের কাছে মেনে নেয়া খুব কঠিন।
তবু ঐ মহান ব্যক্তিকে ধারণ করি।
বর্তমান সরকার এই মহান ব্যক্তিকে যেভাবে ব্যবহার করছে তার ফলাফল খুবই খারাপ ও বাজে হবে ভবিষ্যতে।এখনই এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায় যদি আপনারা চোখ কান খোলা রাখেন তবে। একজন জাতির জনকের এমন পরণতি যেকোন স্বাধীন দেশের মানুষের কাছে লজ্জাজনক। আজ থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে আমার মনে আছে আমি আমার হাইস্কুল মাঠে গিয়েছিলাম একদিন বিকেলে হাটতে।একই মাঠে প্রাইমারি স্কুলের ভবনও আছে।
আমরা যারা প্রাইমারি স্কুল সম্পর্কে একটু ধারনা রাখি তারা অবশ্যই জানি, স্কুল ভবনের দেয়ালে দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের ছবি ও তাদের পরিচয় দেয়া থাকে।
আমার যতটুকু মনে পড়ে সেদিন আমি দেখেছিলাম একটা বাচ্চা ছেলে জাতির জনকের ছবিতে ক্রমাগত ইট দিয়ে আগাত করে যাচ্ছে,শুধু তাই নয় সে গালিও দিচ্ছে।
আমার সেদিন খুব কষ্ট লেগেছিল এবং ভাবতে বাধ্য করছিল যে তার অর্জিত মর্যাদার এই পরিণামের দায়ভার কে নিবে? কারা নিবে এই লজ্জার ভার?
যারা তাকে যত্রতত্র ব্যবহার করছে শুধু মাত্র নিজেদের গদি ধরে রাখার জন্য….!!
Thanks for joining me!
Good company in a journey makes the way seem shorter. — Izaak Walton